www.royasbd.com

Mangoes

Mangoes(আম)

 

🥭 বাংলাদেশের আম

আম বাংলাদেশের একটি অন্যতম জনপ্রিয় ও সুস্বাদু মৌসুমী ফল। গ্রীষ্মকালে দেশের নানা প্রান্তে নানা জাতের আম চাষ হয়। প্রতিটি জাতের স্বাদ, গন্ধ এবং রং আলাদা, যা আমাদের দেশীয় ঐতিহ্যের একটি গর্ব।


🌳 জনপ্রিয় আমের জাতসমূহ

ক্র.আমের নামবৈশিষ্ট্য
হিমসাগর (ক্ষিরসাপাত)আঁশমুক্ত, মিষ্টি, সুগন্ধি – রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিখ্যাত
ল্যাংড়ামাঝারি আকার, নরম ও সুগন্ধিযুক্ত
গোপালভোগমৌসুমের প্রথমদিকের আম, মিষ্টি ও রসালো
ফজলিআকারে বড়, কিছুটা দেরিতে পাকে, মিষ্টি ও রসালো
আম্রপালিআধুনিক জাত, মিষ্টি ও ঘন হলুদ, সংরক্ষণযোগ্য
আশ্বিনামৌসুমের শেষদিকে পাকে, রপ্তানিযোগ্য
লখনামিষ্টি ও সুগন্ধিযুক্ত, চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলে জনপ্রিয়
সিদ্দিকীস্থানীয় বাজারে জনপ্রিয়, হালকা মিষ্টি
বোম্বাইগোপালগঞ্জ-নড়াইল অঞ্চলের আম, রসালো ও সুগন্ধি
১০কালিবাউসস্থানীয় জাত, সহজে গলে যায়

🍃 পুষ্টিগুণ

  • ভিটামিন A, C ও E-তে ভরপুর

  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

  • হজমে সহায়ক

  • ত্বক ও চোখের জন্য উপকারী


📌 বাংলাদেশে আম উৎপাদনের অঞ্চল

  • চাঁপাইনবাবগঞ্জ

  • রাজশাহী

  • নওগাঁ

  • দিনাজপুর

  • মেহেরপুর

  • যশোর


📢 মজার তথ্য

বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ১০ লক্ষ টন আম উৎপাদিত হয়! দেশের আম বিদেশেও রপ্তানি হয়, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে।

হিমসাগর (ক্ষিরসাপাত) – রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলে বেশি চাষ হয়। স্বাদে মিষ্টি, আঁশহীন, এবং গন্ধে অতুলনীয়।
হিমসাগর (ক্ষিরসাপাত) – রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলে বেশি চাষ হয়। স্বাদে মিষ্টি, আঁশহীন, এবং গন্ধে অতুলনীয়।

হিমসাগর (ক্ষিরসাপাত): বাংলাদেশের সেরা মিষ্টি আমের রাজা

হিমসাগর, যা স্থানীয়ভাবে ক্ষিরসাপাত নামেও পরিচিত, বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ও জনপ্রিয় আমের একটি জাত। এটি মূলত রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলে ব্যাপকভাবে চাষ হয়। স্বাদ, গন্ধ, রং এবং গঠনে এই আম একটি অনন্য স্থান অধিকার করে আছে। হিমসাগর আমের বিশেষত্ব হলো এর স্বাদে অতুলনীয় মিষ্টি, সম্পূর্ণ আঁশহীন গঠন এবং ঘ্রাণে এক ধরণের প্রাকৃতিক স্নিগ্ধতা যা অন্য আমে খুব কমই পাওয়া যায়।

এই আমের গড় আকৃতি মাঝারি থেকে বড়, বাইরের রঙ কাঁচা অবস্থায় হালকা সবুজ এবং পাকলে হলুদাভ। প্রতি কেজিতে সাধারণত ৪ থেকে ৫টি হিমসাগর আম পড়ে। আমটি খেতে অত্যন্ত রসালো এবং নরম। হিমসাগর এমন একটি জাত যা তুলনামূলকভাবে দ্রুত পাকে এবং স্বাদে কখনোই টক ভাব থাকে না, যদি সঠিকভাবে পরিপক্ব অবস্থায় খাওয়া হয়।

হিমসাগরের আরেকটি বিশেষ দিক হলো এটি আঁশহীন। আঁশহীন হওয়ার কারণে এটি কাটতে ও খেতে খুবই আরামদায়ক, এবং এটি জুস, ম্যাংগো ডেজার্ট, আচার ইত্যাদির জন্যও আদর্শ। চাষের পরিমাণ ও জনপ্রিয়তার দিক থেকে এটি প্রতিনিয়তই দেশি এবং আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা পাচ্ছে।

বাংলাদেশের আম প্রেমীদের কাছে হিমসাগর শুধুই একটি ফল নয়, বরং গ্রীষ্মকালীন এক আনন্দঘন অভিজ্ঞতা। এর মিষ্টি স্বাদ ও সুবাস আমাদের শৈশব, গ্রামবাংলার স্মৃতি ও পরিবারের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া সেই মধুর মুহূর্তগুলোকে মনে করিয়ে দেয়। তাই বলা যায়, হিমসাগর আম শুধু খাবার নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতিরও এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

Scroll to Top